কালো
-সঙ্কর্ষণ
সিন্দুকে তালা ওজনে যতো ভারী হয় ততোই মুখ ব্যাদান করতে থাকে সাক্ষাতের ফাটল। ফাটলে মুখ রাখলে যে পাঁচিলটি অনুভূত হয় তা শিরায় এক প্রবল তারুণ্য নিয়ে আসে নেশার মতো।
শেষ যৌবনের চাইতেও বড়ো এই অযাচিত প্রাচুর্য বাক্যালাপে প্রবলভাবে পরাঙ্মুখ হয়, কিয়ৎ পূর্বেও যা নিতান্তই অপরিচিত ছিলো। আমরা বুঝতে শিখি
কেউ কারোর হাতের নই, কারোর আপন কারো’র নয়।
খেলার সাথীটি নারী হলে প্রাচীনত্ব বৃদ্ধির সাথেই সে’ও নতুন রূপে আবিষ্কৃত হয়। অথচ এই উৎখননের প্রবল বিরোধী তার সহোদরের চোখে সে নিতান্তই মায়া পড়া বোঝা। বিভীষণ ব্যক্তিগত।
সকলই আপেক্ষিক, তবু এ ঘোরের তীব্রতা থেকে আমরা বাইরে আসিনা। এই যে বিস্তৃত জিজ্ঞাসানদী প্রশ্ন করে দুটি পথ দুটি পারে বিস্তৃত কিনা, জানিনা। স্রোতে ভেসে যাই মুক্ত হতে।
আলো বিভিন্ন দিক থেকে ছুটে আসলে আমরা অন্ধ হয়ে যাই, আশঙ্কা হাত বাড়ায়। এ মূলতঃ এক বিদগ্ধ অসুখ, বিপুল বেগে ঠেলে ফেলে দেয় অতল খাদে। এহেন আলস্যকে কী নাম দেবো? বিশ্বাস?
ভরসা আসলে এক দিগন্তবিস্তৃত তমিস্রার প্রতিরূপ। শৈশব অসুস্থ হলেও তাই মাকেই আঁকড়ে ধরে। জানে তিনিই সেই সহজপ্রাপ্য উজ্জ্বলতমা দিশা। বিশ্বাস করে তিনিই বৈদ্যশ্রেষ্ঠা।
এক্ষেত্রে ফাটল স্বয়ং সিন্দুকে তালাবন্ধ থাকে।